করোনায় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য; রমজানেরআগেই কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে: সিসিএস

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
করোনায় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য;
রমজানেরআগেই কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে: সিসিএস

ঢাকা, ১০ এপ্রিল ২০২০: করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে দেশে উদ্ভুত সঙ্কট মোকাবিলায় দরিদ্র ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রমের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি চরম অমানবিক ও ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন। দেশের এমন সঙ্কটকালে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।

আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের এ মহাদুর্যোগে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ঘরবন্দী নিত্য আয়ের মানুষ চরম বিপদে রয়েছেন। বহু পরিবারের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। যা আমাদের জাতিগত মানবিকতার উদাহরণ। সিসিএসও তার ‘করোনায় স্বেচ্চাসেবী’ প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেশের প্রায় সব জেলা ও থানায় সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।’

লিখিত বক্তব্যে পলাশ মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি খুচরা বাচারে পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০ থেকে ৬০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। যা দেশের ইতিহাসে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম। কোথাও কোথাও পেঁয়াজ এখন ‘হালি’ দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচেছ। মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের পক্ষে এখন পেঁয়াজ দুর্লভ পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিসিএস বলছে, কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, অসহায় ও অভুক্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে বহু মানুষ নিত্য পণ্য কেনার এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। বিষয়টি চরম অমানবিক এবং মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে বাধা দেয়ার শামিল। এমন অপতৎপরতা রাষ্ট্রকে জিম্মি করার সমতুল্য। কতিপয় সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরে অজুহাত পেলেই রাষ্ট্র ও মানুষকে জিম্মি করার এ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিত্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা আইনের ঊর্ধ্বে নয় উল্লেখ করে পলাশ মাহমুদ বলেন, মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সরকারের একাধিক আইন রয়েছে। সিন্ডিকেটের কারসাজিকারীরাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ দেখা যায় না। ফলে তারা রাষ্ট্রের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনৈতিক মুনাফা অর্জন অব্যহত রাখে। করোনার মতো দুর্যোগের সময়ে যারা অনৈতিকভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

আসছে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনি সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়ে পলাশ মাহমুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য যেন লাগাম ছাড়া না হয়ে যায় সে জন্য এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে যারা মূল্য বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে অন্যরাও এ অনৈতিকতায় উৎসাহিত হতে পারে এবং রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এবং রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী সংগঠন, ভোক্তা সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষগুলোকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রব্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিগত সময়ের মতো এবার বাজার লাগামছাড়া হলে রমজানে দ্রব্য মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই কালক্ষেপণ না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাই।

গণমাধ্যম যোগাযোগ:
জয়ন্ত কৃষ্ণ জয়
কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও আউটরিস সম্পাদক
কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)।
মোবা: ০১৯৭৭৪৫৩৬৫৩

CCS Blood Bank

Your BLOOD Can Bring Smile In Other Person Face.


রক্তের প্রয়োজনে এই ওয়েবসাইট থেকে রক্তদাতা খুঁজে নিন

Online Survey

Do you think that initiatives will be taken to find new markets to increase manpower exports?


120 people voted

জরুরি হটলাইন


Our Locations

Working office

106/A, Green Road, Farmgate
Dhaka, Bangladesh
+88 01977 453 653
info@ccsbd.net

Registered Office

Lorna Office Complex (2nd Floor)
95, New Eskaton Road
Dhaka - 1205, Bangladesh
+88 01977 453 653
info@ccsbd.net

Join the CCS Social Community
Instagram
Follow Us
Join Us
Circle Us
Subscribe Us

Design and Developed by